বাস্তবিক অর্থে সদকা

পুরুষদেরকে প্রায় একটা অভিযোগ করতে শুনি। তারা বলেন, “সংসারের বোঝা টানতে টানতে শেষ হয়ে গেলাম, পরিবারের লোকের ভালোবাসা পেলাম না।” এ অভিযোগ দেখিয়ে কয়দিন আগে একজন আত্মহত্যা করেছে, ফেসবুকে দেখলাম।

যারা একটু ধার্মিক তারা কথাটাকে অন্যভাবে বলেন। যেমন, “সংসারের জন্যে টাকা খরচ করে গেলাম কেবল, আল্লাহর রাস্তায় কিছু দিতে পারলাম না।”

আসলে সংসারের জন্যে খরচ করাটা অথবা স্ত্রী-সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেওয়াটাও সদকা বা আল্লাহর জন্যে খরচ করা। রাসূল (স) বলেন –

إِذَا أَنْفَقَ الرَّجُلُ عَلَى أَهْلِهِ يَحْتَسِبُهَا فَهُوَ لَهُ صَدَقَةٌ

“মানুষ তার পরিবারের জন্য সওয়াবের নিয়তে যখন খরচ করে তখন তা হয় তার সদকা স্বরূপ।” [বুখারি – ৫৩]

إِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ إِلَّا أُجِرْتَ عَلَيْهَا حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِي فَمِ امْرَأَتِكَ

“তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় যা-ই খরচ কর না কেন, তোমাকে তার সওয়াব অবশ্যই দেওয়া হবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যা তুলে দাও, তারও।” [বুখারি – ৫৪]

এ হাদিসগুলোর ব্যাখ্যায় আমার উস্তাদ আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর বলতেন, “মসজিদে টাকা দেয়ার চেয়ে বউকে আইসক্রিম কিনে খাওয়ানো বেশি সাওয়াবের।”

যারা কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে ও সদকার নিয়তে পরিবার বা সংসারের জন্যে খরচ করে, তারা এর বিনিময় আপনজনের ভালোবাসার মাধ্যমে পেতে চায় না, বরং আল্লাহর কাছে পেতে চায়।

যারা সংসারে খরচ করার বিনিময় কেবল আল্লাহর কাছে চায়, সংসারের সদস্যের সম্পর্কে তাদের তেমন অভিযোগ থাকে না। ফলে ঝগড়াও কমে যায়।

12 April 6:52pm

আরো পোস্ট