মুসলিমদেরকে বিভিন্নভাবে ভাগ করার প্রয়োজন কেন হয়?
একজন ভাইয়া আমাকে প্রশ্ন করেছেন, আপনি মুসলিমদেরকে এত ভাগে ভাগ করে দেখান কেন? এতে তো ঐক্য বিনষ্ট হয়।
এ কথার উত্তরে আমি বলবো –
কোনো বিষয়ে গবেষণা করতে হলে তার প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে পড়াশুনা করতে হয়। যেমন, আমরা যারা ডাক্তারি পড়িনি, তারা ‘মাথা’ শব্দটি বললে কেবল ‘মাথা’টাই বুঝি, কিন্তু একজন নিউরোলজির ডাক্তার তার কাজের স্বার্থে মাথার প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশকে আলাদা আলাদা নামকরণ করে। এই নামকরণ করার মধ্যে দিয়ে মাথার এক অংশের সাথে অন্য অংশের যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় না। বরং গবেষণার স্বার্থেই নিউরোলজির ডাক্তারদেরকে এ কাজটি করতে হয়।
অথবা ধরুন,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেবল একটি বিশ্ববিদ্যালয়; কিন্তু এর অনেকগুলো বিভাগ আছে। ইচ্ছে করলে সব বিভাগকে মিলিয়ে এক জায়গায় মক্তবের মত ক্লাস করানো যেতো। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু ‘উচ্চশিক্ষা’র জন্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাই এর অনেকগুলো বিভাগ করতে হয়েছে গবেষণার স্বার্থে। এখানে অনেকগুলো বিভাগ থাকা মানে বিভাগে বিভাগে যুদ্ধ শুরু করা নয়।
একইভাবে,
যারা ইসলাম নিয়ে গবেষণা করতে চান, তাদেরকে ইসলামের বিভিন্ন চিন্তার ধরণগুলো জানার জন্যে বিভিন্নভাবে নামকরণ করতে হয়। এর দ্বারা এক দলের সাথে অন্য দলের যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেয়া উদ্দেশ্য নয়, বরং উদ্দেশ্য হলো গবেষণা করা।
11 February at 6:38pm 2020