| |

সুদ ব্যবস্থা কি মূর্তি পূজার চেয়েও ভয়ঙ্কর?

মূর্তি পূজার মত সুদ ব্যবস্থারও বিরোধিতা করা উচিত। কারণ, মূর্তি পূজার চেয়েও বড় শিরক হলো সুদ ব্যবস্থা। কোর’আনে বলা হয়েছে, যারা সুদের ব্যবসা করে, আল্লাহ তায়ালা তাদের সাথে যুদ্ধ করেন।

فَإِن لَّمْ تَفْعَلُوا۟ فَأْذَنُوا۟ بِحَرْبٍۢ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ۖ وَإِن تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَ‌ٰلِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ

অর্থাৎ, “তোমরা যদি সুদের ব্যবসা পরিত্যাগ না কর, তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে। তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করবে না এবং তোমাদের সাথেও কেউ অত্যাচার করবে না ।” [সূরা ২/বাকারা – ১৭৯]

এ আয়াতটিকে আমি যেভাবে বুঝেছি –

পৃথিবীর যাবতীয় অপরাধের মূল হলো অর্থের লোভ। অর্থের প্রতি লোভ থাকার কারণে মানুষ সুদের পন্থা আবিষ্কার করে। সুদ ব্যবস্থা তখনি শুরু হয়, যখন মানুষ দান-সদকা করতে চায় না। আর দান-সদকা তখনি মানুষ করতে চায় না, যখন তার অন্তরে দয়া ও ভালোবাসা থাকে না। মানুষের হৃদয়ে তখনি দয়া ও ভালোবাসার পরিধি বৃদ্ধি হয় না, যখন তার কাছে সত্যের জ্ঞান না থাকে। আর, সত্যের জ্ঞান মানে হলো আল্লাহ তায়ালার জ্ঞান বা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস।

সুতরাং, সুদ হলো এমন একটি অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতার নাম, যা আল্লাহ প্রতি অবিশ্বাস সৃষ্টি করে। অর্থাৎ, সুদ শিরকের মতই একটি জুলম বা অন্যায়। তাই আল্লাহ তায়ালা সুদ ব্যবসায়ীদের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।

মূর্তি পূজা নিয়ে আমরা যত সোচ্চার আলহামদুলিল্লাহ, সুদি ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়ে কিন্তু আমরা ততটা সোচ্চার নই। আসুন, দেশের মূর্তি সমস্যা নিয়ে কথা বলার সাথে সাথে নিজের সম্পদকেও সুদ ব্যবস্থা থেকে নিরাপদ করি।

আরো পোস্ট

একটি মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস প্রকাশ করা হবে না। তারকা (*) চিহ্নিত ঘরগুলো পূরণ করা আবশ্যক