|

বাল্যবিয়ে ও রাষ্ট্রীয় জুলুম

শেখ মুজিবুর রহমান বলেন –

“আমার যখন বিবাহ হয় তখন আমার বয়স বার তের বছর হতে পারে। রেণুর বাবা মারা যাবার পরে ওর দাদা আমার আব্বাকে ডেকে বললেন, “তোমার বড় ছেলের সাথে আমার এক নাতনীর বিবাহ দিতে হবে। কারণ, আমি সমস্ত সম্পত্তি ওদের দুই বোনকে লিখে দিয়ে যাব।” রেণুর দাদা আমার আব্বার চাচা। মুরব্বির হুকুম মানার জন্যই রেণুর সাথে আমার বিবাহ রেজিস্ট্রি করে ফেলা হল। আমি শুনলাম আমার বিবাহ হয়েছে। তখন কিছুই বুঝতাম না, রেণুর বয়স তখন বোধহয় তিন বছর হবে। রেণুর যখন পাঁচ বছর বয়স তখন তার মা মারা যান। একমাত্র রইল তার দাদা। দাদাও রেণুর সাত বছর বয়সে মারা যান। তারপর, সে আমার মা’র কাছে চলে আসে। আমার ভাইবোনদের সাথেই রেণু বড় হয়।”
(অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পিডিএফ, পৃ. ৭,৮)

শেখ মুজিবের বউয়ের চেয়ে এই মেয়েটার বয়স বেশি। যদি এই মেয়ের পরিবারের অপরাধ হয়, তাহলে শেখ মুজিবের পরিবারের অপরাধ কি হবে না?

শেখ মুজিবকে যারা আদর্শ হিসাবে মানেন, তারা কি সত্যিকার অর্থে শেখ মুজিবকে অনুসরণ করেন? শেখ মুজিব ৩ বছরের মেয়েকে বিয়ে করলে তার কর্মীরা কেন ১৮ বছরের শর্ত দিচ্ছেন?

শেখ মুজিব বাল্যবিয়ে করার কারণে কি ধ্বংস হয়ে গেছেন? বিয়ের সময়ে রেণুর বয়স তিন বছর থাকলেও পরবর্তীতে কি তার গর্ভে সুস্থ মানুষের জন্ম হয়নি?

এই ভিডিয়োতে দেখি বলা হচ্ছে, বিয়ে না করে প্রেম করার জন্যে। শেখ মুজিব কি পারতেন না বিয়ে না করে প্রেম করতে?

শেখ মুজিবের পরিবার যখন তিন বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিলো, বড় হয়ে শেখ মুজিব কি সে বিয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলো?

২য় পর্ব

এক দিকে নাটক-সিনেমাগুলো আমাদের ছোট-ছোট বাচ্চাদের দেখার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তারা বিয়ে সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠছে। অন্যদিকে আবার আইন করে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এটা সুস্পষ্ট প্রকৃতি বিরোধী ও রাষ্ট্রীয় জুলুম।

বাল্যবিয়ের অনেক সামাজিক বাস্তবতা রয়েছে। সেগুলোকে অস্বীকার করে আইনের মাধ্যমে বিয়ে বন্ধ করা, পরিবারকে জেলে নেয়া স্পষ্ট জুলুম।

যদি বাল্যবিয়ে রোধ করতে হয়, তাহলে নাটক-সিনেমার মাধ্যমে প্রচারণা চালাতে পারে, নাটক-সিনেমায় দেখাতে পারে যে, বাচ্চারা ছোট বয়সে বিয়ে বা প্রেম করতে করতে আগ্রহী নয়, এসব। কিন্তু মানুষের প্রাকৃতিক চাহিদার বিপরীতে আইন করা সুস্পষ্ট জুলুম।

আরো পোস্ট

একটি মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস প্রকাশ করা হবে না। তারকা (*) চিহ্নিত ঘরগুলো পূরণ করা আবশ্যক