বিনোদন ও বর্তমান বক্তৃতা

বিনোদনের প্রয়োজন হলে সাধারণত সভা-সেমিনারে গিয়ে উপস্থিত হই। সেখানে বক্তাদের দেখলে গোপাল ভাঁড়ের চেহারা চোখে ভাসে। গোপাল ভাঁড় সম্ভবত যতটুকু চিন্তাশীল, এ-কালের মঞ্চায়নকৃত বক্তারা ততটা চিন্তাশীল না হলেও, তাদের দেখে হাসি কিন্তু কম পায় না। গোপাল ভাঁড়ের সাথে এদের পার্থক্য শুধু, গোপাল কৌতুকের স্বার্থে ভাঁড়ামি করত, আর এরা ভাঁড়ামির স্বার্থে কৌতুকাভিনয় করেন। গোপালের কথা শুনলে পরে হাসি পায়, আর এদের দেখলেই হাসি পায়।

শনিবার বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র আয়োজিত ‘চিন্তার স্বাধীনতা’ বিষয়ে কথা বলেন রুবায়েত ফেরদাউস। ‘ভদ্রলোক’ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক না ‘মিরাক্কেলের’ প্রতিযোগী, তা ঠিক করতেই আমার সময় লেগেছে অনেক। অবশ্য পরে যখন শ্রোতারা ‘শালা… পাগলা…’ বলে হাসাহাসি শুরু করলো, তখন বুঝলাম, সে আসলে অন্য কিছু।

আজ গেলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আর সি মজুমদারে’; “অসাম্প্রদায়িকতা কি এবং কেন?” বিষয়ে কথা শুনতে। আটজন বক্তা কথা বললেন, কেউই ‘অসাম্প্রদায়িকতার’ একটি ভালো সংজ্ঞা দিতে পারেননি। সবাই বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা’ নিয়ে। ‘অসাম্প্রদায়িক’ অর্থ যে ‘অসামাজিক’ –তা অভিধানে দেখেই কি তারা চুপ রয়ে গেলেন?

অবশেষে বুঝলাম,

সমাজে যারা নিজেদের ‘অসাম্প্রদায়িক’ দাবী করেন, তাদের যদি এর অর্থ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়, তারা বেশ অসুবিধায় পড়েন, গুলিয়ে ফেলেন। তাই কিছু না পেয়ে কষিয়ে ‘মৌলবাদী’ বলে গালাগালি করেন।May 25, 2015 at 10:24

আরো পোস্ট