স্বাধীনতা কী?
কেউ যদি আপনার সম্পদ চুরি বা ডাকাতি করার স্বাধীনতা চায়, আপনি কি তাকে এই স্বাধীনতা দেবেন?
অবশ্যই না। কারণ, স্বাধীনতার অর্থ ইচ্ছামতো যা খুশি করা নয়।
“স্বাধীনতা” শব্দের প্রকৃত অর্থ হলো—“স্ব অধীনতা,” অর্থাৎ নিজেকে নিজের নিয়ম-কানুনের মধ্যে পরিচালনা করা।
তবে, “নিজের নিয়ম” বলতে কী বোঝায়? এটি এমন একটি নিয়ম, যা আপনি নিজে মানবেন এবং অন্যের উপরও তা প্রয়োগ করতে পারবেন। একইভাবে, অন্যরাও সেই নিয়ম আপনার উপর প্রয়োগ করতে পারবে।
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন মানিক সাহেব একটি অফিসে কাজ করেন, যেখানে আরও ৯ জন কর্মী আছেন। যদি মানিক সাহেব বলেন, “তোমরা সবাই আমাকে ৫০ টাকা করে দিতে হবে,” এবং বাকিরা সম্মতি দিয়ে তাকে ৫০ টাকা করে দেয়, তাহলে মানিক সাহেবের কাছে মোট ৪৫০ টাকা জমা হবে। কিন্তু, এর ৫ মিনিট পরে যদি ওই ৯ জন প্রত্যেকে মানিক সাহেবের কাছে এসে একইভাবে ৫০ টাকা দাবি করে এবং মানিক সাহেব তা প্রদান করেন, তখনই কেবল এটি একটি আইন বা ন্যায্য নিয়ম হিসেবে গণ্য হবে।
যদি মানিক সাহেব অন্যদের থেকে টাকা গ্রহণ করেন, কিন্তু নিজে কাউকে টাকা না দেন, তবে সেটি নিয়ম বা আইন নয়, বরং এটি অন্যায় বা জুলুম।
সুতরাং, স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ হলো এমন নিয়ম মেনে চলা, যা সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। সবার জন্য প্রয়োগযোগ্য নিয়ম অনুসরণ করা ছাড়া ইচ্ছেমতো যা খুশি করা কখনোই স্বাধীনতা নয়; বরং তা বিশৃঙ্খলা বা অন্যায়।