ঢাকার নাম কীভাবে ঢাকা হয়েছে?
১. ঢোল বাজানো বা ‘ঢাক’ তত্ত্ব:
অন্য একটি তত্ত্ব হলো, মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ১৬০৮ সালে ইসলাম খান বাংলার সুবাহদার নিযুক্ত হন এবং তিনি ঢাকাকে বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন। তখন তিনি ঢোল (বা ‘ঢাক’) বাজিয়ে নতুন রাজধানীর প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। সেখান থেকে শহরের নাম “ঢাকা” এসেছে বলে অনেকে মনে করেন।
২. ঢাকেশ্বরী মন্দির তত্ত্ব:
এটি সবচেয়ে প্রচলিত তত্ত্ব। বলা হয়, ঢাকার নাম এসেছে “ঢাকেশ্বরী” মন্দিরের নাম থেকে। “ঢাকেশ্বরী” শব্দের অর্থ “ঢাকার ঈশ্বরী” বা “ঢাকার দেবী”। ধারণা করা হয়, সেন রাজা বল্লাল সেন ১২ শতকে ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, যা হিন্দুদের একটি পবিত্র মন্দির হিসেবে পরিচিত ছিল। এই মন্দির থেকেই “ঢাকা” নামের উৎপত্তি ঘটেছে বলে মনে করা হয়।
৩. ভৌগোলিক অবস্থানের তত্ত্ব:
আরেকটি তত্ত্ব অনুসারে, “ঢাকা” শব্দটি এসেছে “ঢাক” নামক একটি গাছের নাম থেকে, যা একসময় এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে জন্মাত। ঢাক গাছের নামানুসারেই শহরটির নাম ঢাকা রাখা হয় বলে কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন।
৪. মুঘল প্রশাসনিক তত্ত্ব:
মুঘল শাসকদের অধীনে ঢাকার প্রশাসনিক গুরুত্ব বাড়ার পর, নামকরণ সংক্রান্ত তত্ত্বের একাংশ মনে করে যে, মুঘল শাসনামলে শহরটির নামকরণ হয়েছিল।
৫. পুরাতন বৌদ্ধ নাম তত্ত্ব:
আরেকটি মতবাদে বলা হয়, প্রাচীনকালে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা ঢাকার আশপাশে বসতি স্থাপন করেছিল। তাদের ধর্মীয় কোনো স্থান বা মন্দির থেকেই “ঢাকা” নামটির উৎপত্তি হয়েছে।
এসব তত্ত্বের মধ্যে ঢাকেশ্বরী মন্দির এবং মুঘল শাসনের সময় ঢোল বাজিয়ে ঢাকার নামকরণের ধারণাগুলোই সবচেয়ে জনপ্রিয়।