জাতিসঙ্ঘে সমকামী ও ট্রান্স-জেন্ডার সম্পর্কে এরদোয়ান

“সম্মানিত বন্ধুগণ…

আজ আমি আবারও আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই সেই বিপদের দিকে, যা আমি গত বছর এই মঞ্চে তুলে ধরেছিলাম।

সমাজের মূল স্তম্ভ, পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত ঘৃণ্য অশ্লীল দৃশ্যগুলো মানবতা বিরুদ্ধে হুমকির মাত্রা আমাদের চোখের সামনে প্রকাশ করেছে।

নিষ্পাপ শিশু ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ এবং বিভিন্ন বিশ্বাসের কোটি কোটি মানুষ দেখে এমন একটা খেলার অনুষ্ঠানকে অত্যন্ত অশ্লীলভাবে LGBTQ+ এর প্রোপাগান্ডার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

সে অশ্লীল দৃশ্যগুলো শুধু ক্যাথলিক এবং খ্রিস্টান বিশ্বে নয়, বরং মুসলিম এবং যারা ধর্মকে সম্মান করেন, তাদের সবাইকেই গভীরভাবে আঘাত করেছে।

লিঙ্গনিরপেক্ষতা বা LGBT-র বিষয়টি এখন আর “পছন্দ” হিসেবে থাকছে না, বরং এটি একপ্রকার বৈশ্বিক শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। এটি প্রকৃতি ও ধর্মের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধে পরিণত হয়েছে।

কেউ যদি এই ধ্বংসাত্মক প্রকল্পের বিরুদ্ধে কথা বলে বা সামান্যতম প্রতিবাদও জানায়, তখন তাকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। গণমাধ্যম তাকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।

তুরস্ক যেকোনো মূল্যে এই বাধা এবং ভীতিকর পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

এই উদ্দেশ্যে আমরা জাতিসংঘের ‘পরিবার বান্ধব সংগঠন’-এর সদস্য হয়েছি।

ইনশাআল্লাহ, অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে সংহতি বজায় রেখে পরিবার, মানবতা এবং ফিতরাত বা প্রকৃতির সুরক্ষার পক্ষে দাঁড়াতে আমরা কখনও পিছপা হব না।

যেসব দেশ আমাদের মতো একই চিন্তা করে, তাদেরকে আমি এই সংগ্রামে সমর্থন দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।

আমি আশা করি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন সমগ্র মানবতার জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।”

নিচে বাংলা, ইংরেজি ও মূল তার্কিশ ভাষায় দেওয়া হলো বক্তব্যটি

Geçen sene bu kürsüde gündeme getirdiğim bir tehlikeye karşı bugün bir kez daha dikkatlerinizi çekmek istiyorum. 

Distinguished Friends…

Today I would like to draw your attention once again to a danger that I raised at this rostrum last year.

সম্মানিত বন্ধুগণ…

আজ আমি আবারও আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই সেই বিপদের দিকে, যা আমি গত বছর এই মঞ্চে তুলে ধরেছিলাম।

Toplumun temel direği olan aile kurumuna yönelik saldırılar giderek yoğunlaşıyor. 

The attacks against the family institution, which is the basic pillar of society, are intensifying.

সমাজের মূল স্তম্ভ, পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

2024 Olimpiyat Oyunları’nın açılışında sahnelenen rezalet, insanlık olarak karşı karşıya olduğumuz tehdidin boyutlarını gözler önüne sermiştir. 

The disgrace staged at the opening of the 2024 Olympic Games has revealed the dimensions of the threat we face as humanity.

২০২৪ সালের অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত ঘৃণ্য অশ্লীল দৃশ্যগুলো মানবতা বিরুদ্ধে হুমকির মাত্রা আমাদের চোখের সামনে প্রকাশ করেছে। 

Masum çocukların, her yaştan ve inançtan 100 milyonlarca insanın izlediği bir spor etkinliği hem de çirkin bir şekilde cinsiyetsiz hale getirilmiş, propagandasına alet edilmiştir. 

A sports event followed by innocent children and hundreds of millions of people of all ages and faiths has been used, in a very ugly manner, for degenderization propaganda.

নিষ্পাপ শিশু ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ এবং বিভিন্ন বিশ্বাসের কোটি কোটি মানুষ দেখে এমন একটা খেলার অনুষ্ঠানকে অত্যন্ত অশ্লীলভাবে LGBTQ+ এর প্রোপাগান্ডার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

O kötü sahneler sadece Katolik alemini, Hristiyan dünyasını değil, Müslümanları ve kutsala saygısı olan herkesi derinden yaralamıştır. 

Those wicked scenes have deeply wounded not only the Catholic world, the Christian world, but also Muslims and everyone who respects the sacred.

সে অশ্লীল দৃশ্যগুলো শুধু ক্যাথলিক এবং খ্রিস্টান বিশ্বে নয়, বরং মুসলিম এবং যারা ধর্মকে সম্মান করেন, তাদের সবাইকেই গভীরভাবে আঘাত করেছে।

Cinsiyetsizleştirme meselesi bir tercihten ziyade artık küresel bir dayatmaya, tam anlamıyla kutsala ve fırsata karşı bir savaşa dönüşüyor. 

The issue of desexualisation is now turning into a global imposition rather than a “preference”, literally a war against the sacred and the creation.

লিঙ্গনিরপেক্ষতা বা LGBT-র বিষয়টি এখন আর “পছন্দ” হিসেবে থাকছে না, বরং এটি একপ্রকার বৈশ্বিক শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। এটি প্রকৃতি ও ধর্মের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধে পরিণত হয়েছে।

Bu yıkım projesi karşısında ses çıkaran, en ufak bir tepki gösteren herkes susturulmakta, linç kampanyalarının hedefi olmaktadır. 

Anyone who raises a voice against this destruction project and shows the slightest reaction is silenced and becomes the target of lynching campaigns.

কেউ যদি এই ধ্বংসাত্মক প্রকল্পের বিরুদ্ধে কথা বলে বা সামান্যতম প্রতিবাদও জানায়, তখন তাকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। গণমাধ্যম তাকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।

Ne pahasına olursa olsun, Türkiye bu kuşatmayı yarmakta ve yıpratmakta, bu korku iklimine direnmekte kararlıdır.

Türkiye is determined to break this siege and resist this climate of fear at all cost.

তুরস্ক যেকোনো মূল্যে এই বাধা এবং ভীতিকর পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

Bu amaçla Birleşmiş Milletler Ailenin Dostları Grubu’na üye olduk. 

For this purpose, we became a member of the United Nations Group of Friends of the Family.

এই উদ্দেশ্যে আমরা জাতিসংঘের ‘পরিবার বান্ধব সংগঠন’-এর সদস্য হয়েছি। 

İnşallah diğer üye ülkelerle dayanışma içinde aileyi, insanı, fıtratı savunmaktan geri durmayacağız. 

Insha’Allah, we will not hold back from defending the family, the human being and the creation in solidarity with other member states.

ইনশাআল্লাহ, অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে সংহতি বজায় রেখে পরিবার, মানবতা এবং ফিতরাত বা প্রকৃতির সুরক্ষার পক্ষে দাঁড়াতে আমরা কখনও পিছপা হব না। 

Bizimle aynı endişeleri paylaşan ülkeleri de bu mücadeleye omuz vermeye davet ediyorum.

I invite the countries that share the same concerns with us to support this struggle.

যেসব দেশ আমাদের মতো একই চিন্তা করে, তাদেরকে আমি এই সংগ্রামে সমর্থন দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।

আমি আশা করি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন সমগ্র মানবতার জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।

আরো পোস্ট

One Comment

একটি মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস প্রকাশ করা হবে না। তারকা (*) চিহ্নিত ঘরগুলো পূরণ করা আবশ্যক