যুগে যুগে কাবার পথে বাধা দেয় কারা?
৬ষ্ঠ হিজরি। মক্কা থেকে পেয়ারা নবী অনেক দূরে। স্বপ্ন দেখলেন একদিন কাবা ঘর, তাওয়াফ করছেন। বললেন সাহাবীদের, চল মক্কায়, ওমরাহ করে আসি। যেই কথা সেই কাজ। সবকিছু ঠিকঠাক, চললেন কবার উদ্দেশ্যে, মক্কার দিকে।
কিন্তু, কাবা ঘর ঘিরে রেখেছে কাফেরের দল। প্রিয় নবী ও প্রিয় মানুষগুলোকে যেতে দিবে না মক্কায়। মূর্খের দল মনে করে, কাবা ও মক্কার মালিক তারা নিজেরাই। কিন্তু তারা জানে না, পৃথিবীর সকল স্থান-ই আল্লাহর, সকল স্থান-ই সেজদার।
বাধা পেয়ে যাননি মক্কায় প্রিয় নবী। পশুগুলো উৎসর্গ করতে বললেন সাহাবীদের। কিন্তু শুনছে না কেউ তাঁর কথা। ভাবছে, বুঝি মক্কায় না গেলে পশু উৎসর্গ করা যায় না। আমাদের মা সালমার পরামর্শে, প্রিয় নবী নিজেই উৎসর্গ করলেন নিজের পশু।
সাহাবীদের জ্ঞান হলো। বাধা পেলে মক্কায় যাবার দরকার কি? আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় সবাই ছুটে যেতে লাগলেন। তাই, হুদাইবিয়া হয়ে গেলো কাবার ভূমি।
কাফেরের দল বসে নেই। যুগে যুগে ইমানদারদের কাবায় যেতে বাধা দিবে, আল্লাহ কি জানেন না? তাই তো কোর’আনের ঘোষণা –
إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَيَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ ٱلَّذِى جَعَلْنَـٰهُ لِلنَّاسِ سَوَآءً ٱلْعَـٰكِفُ فِيهِ وَٱلْبَادِ ۚ وَمَن يُرِدْ فِيهِ بِإِلْحَادٍۭ بِظُلْمٍۢ نُّذِقْهُ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍۢ
“যারা কুফর করে তারা মানুষকে আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে এবং মসজিদে হারাম থেকে বাধা দেয়। অথচ মসজিদে হারামকে আমি স্থানীয় ও বহিরাগত সকল মানুষের জন্যে সমান হিসাবে তৈরি করেছি। যারা মসজিদে হারামে জুলুমের সাহায্যে পাপ কাজ করার ইচ্ছা করে, আমি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করাব।” [সূরা ২২/হাজ্জ – ২৫]
আফসোস! আজো মূর্খের দল জানে না, মক্কায় আছে পৃথিবীর সকল মুমিনের সমান অধিকার।