বৌদ্ধ কি নবী ছিলেন?
বৌদ্ধ ধর্মের কথা কোর’আনে আছে বলে উল্লেখ করেন মোহাম্মদ হামিদুল্লাহ। ‘ভারতের’ উস্তাদ হামিদুল্লাহর প্রায় ২০টি ভাষায় পড়াশুনা ও লেখালেখি করতেন, এবং তিনি পুরাতন লাইব্রেরীগুলো থেকে ১৪টি প্রাচীন হাদিস গ্রন্থ আবিষ্কার করেন।
বৌদ্ধ ধর্মের কথা কোর’আনে আছে বলে উস্তাদ হামিদুল্লাহ যে দাবী করেছেন, তার পক্ষে তিনি বেশ কিছু তাফসীরের রেফারেন্স দেন, এবং কোর’আন থেকে দুটি যুক্তি উপস্থাপন করেন।
১) কোর’আনে সূরা আম্বিয়ার ৮৫ নং আয়াতে এবং সূরা সাদের ৪৮ নং আয়াতে যুলকিফল (ذَا الْكِفْلِ ) বা কিফলের অধিবাসী নামে একজন নবীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই নবীর সম্পর্কে কোর’আনে তেমন কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। কিন্তু, কিফল শহরটা খুঁজলে আমরা দেখি যে, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক জন্ম গ্রহণ করেন Kapilavastu বা কাফিল শহরে। তাই, যুলকিফল দ্বারা গৌতম বুদ্ধকে বোঝানোর সম্ভাবনা অনেক।
২) সূরা ত্বীনে চারজন নবীর ওহী আগমনের স্থান বলা হয়েছে। তিন জনের নাম আমাদের জানা, কিন্তু একজনের নাম আমাদের জানা নেই, তিনি গৌতম বুদ্ধ হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূরা ত্বীনে বলা হয়েছে –
وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ * وَطُورِ سِينِينَ * وَهَذَا الْبَلَدِ الْأَمِينِ
“ডুমুর এবং যয়তুনের শপথ। সিনাই পর্বতের শপথ। এবং নিরাপদ নগরীর শপথ।” [সূরা ৯৫/ত্বীন – ১,২,৩]
এখানে নিরাপদ নগরী মানে মক্কা শরীফ, যেখানে রাসূল (স) এর ওপর ওহী অবতীর্ণ হয়েছে, সিনাই পর্বতে মূসা (আ)-এর ওপর ওহী অবতীর্ণ হয়েছে, এবং ফিলিস্তিনের যয়তুন পর্বতে ঈসা (আ)-এর ওপর ওহী অবতীর্ণ হয়েছে। বাকি থাকলো ত্বীন বা ডুমুরের গাছ। যে গাছের নিচে গৌতম বুদ্ধ ওহী প্রাপ্ত হয়েছিলো, সেটা এই ত্বীন বা ডুমুর গাছ বলে মনে করেন ড হামিদুল্লাহ।
অর্থাৎ, বৌদ্ধের কথা কোর’আনে সরাসরি না থাকলেও তিনি নবী হবার সম্ভাবনা কোর’আনে রয়েছে।
সূত্র – Muhammed Hamidullah, İslam Peygamberi, s. 650.