ধর্মীয় বিতর্ক করার পদ্ধতি

আমাদের আগের ইমামরা কারো প্রতি হিংসা বা বিদ্বেষ থেকে একে অপরের বিরোধিতা করতেন না, অথবা, কারো ভুল ধরার উদ্দেশ্যেও কথা বলতেন না।

আগের আলেমগন একে অপরের বিরোধিতা করার সময়ে বিরোধী পক্ষের নাম উচ্চারণ করতেন না। তাঁদের বিতর্কের স্টাইলটা ছিলো এমন, “কেউ কেউ বলেন এমন, কিন্তু আমি ফকির বলছি তেমন।”

বিতর্ক সম্রাট ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী মুতাজিলাদের বিরুদ্ধে একটি বই লিখেন। নাম نهاية العقول في دراية الأصول।

এ বইয়ের ভূমিকায় ইমাম রাজী বলেন, আমি আমার বিরোধী পক্ষের প্রতিটি যুক্তি এক এক করে সংগ্রহ করবো। যদি বিরোধী পক্ষের শক্ত কোনো যুক্তি ও কোর’আন-হাদিস থেকে দলীল না থাকে, তাহলে আমি নিজেই তাঁদের পক্ষ হয়ে তাঁদেরকে দলীল ও যুক্তি খুঁজে দিবো। এরপর, তাঁদের যুক্তিগুলো খণ্ডন করে আমার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবো।

এটাই ছিলো আমাদের পূর্ববর্তী ইমামদের বিতর্ক করার স্টাইল। আর, আমরা কারো যুক্তির বিপরীতে যুক্তি দিতে না পেরে ব্যক্তির চরিত্র নিয়ে টানাটানি শুরু করি।

আরো পোস্ট