কোনো দেশের নেতা নেত্রী যেমন, জনগণও তেমন হয়
কোনো দেশ বা রাষ্ট্রের জনগণ ভালো বা খারাপ হবার মূল কারণ হলো তাদের নেতা ও নেত্রী। নেতা-নেত্রী ভালো হলে সে দেশের জনগণও ভালো হয়, এবং নেতা-নেত্রী খারাপ হলে সে দেশের জনগণও খারাপ হয়। কারণ, নেতা তাকেই বলা হয়, যাকে জনগণ অনুসরণ করে।
ইসলামের ইতিহাসে আমরা দেখি, শাসক যেমন ছিলেন, তার জনগণও তেমন ছিলো। যেমন, মুসলিম খলিফা ওলীদ বিন আব্দুল মালিক বেশি বেশি উন্নয়নের কথা বলতেন, বাড়ী-ঘর নির্মাণ করতেন; ফলে তার জনগণও বাড়ি-ঘর নির্মাণে বেশি প্রতিযোগিতা করতো। তার মৃত্যুর পর খলিফা সোলাইমান আসলেন, তিনি খুব বেশি বেশি খেতে পছন্দ করতেন, ফলে তার জনগণও খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বেশি মনোযোগী ছিলো। এরপর, খলিফা ওমার বিন আব্দুল আজীজ বেশ দুনিয়া বিমুখ ছিলেন, এবং ধর্মের প্রতি বেশ অনুরাগী ছিলেন; ফলে তার সময়ে জনগণও ধর্ম-কর্মের প্রতি বেশ অনুরাগী ছিলো।
বর্তমানে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের দিকে তাকালেও দেখবেন, এ দেশগুলোর শাসকরা যতবেশি দুর্নীতিবাজ, তাদের জনগণও ততবেশি দুর্নীতিবাজ। অর্থাৎ, জনগণ তার শাসককেই অনুসরণ করছে।
কেউ যদি নিজেকে বিশ্বের বুকে দুর্নীতিবাজ হিসাবে দেখতে চান, এবং আপনার সন্তানকে দুর্নীতি শেখাতে চান, তাহলে একজন দুর্নীতিবাজকে আপনার নেতা হিসাবে ভোট দিন। আর, কেউ যদি নিজে ভালো হতে চান, এবং আপনার সন্তানদেরকে ভালোভাবে মানুষ করতে চান, তাহলে একজন ভালো মানুষকে ভোট দিন।
মনে রাখবেন, আপনি যাকে নেতা বানাবেন, আপনার সন্তানও সে নেতার মতোই হবে।
[সূত্র – İslam siyaset düşüncesinin kavramsal temelleri. / Özlem Bağdatlı, s – 203]
১৫/১২/২০১৮