ইমরান খানের রাজনীতি
এক
রশিদ ঘানুশি, এরদোয়ান, আনোয়ার ইব্রাহীম এবং মাহাথির মোহাম্মদ-এর সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের ইমরান খান। এই পাঁচজন রাজনৈতিক নেতার চিন্তা-ভাবনা প্রায় একই রকম।
শাহবাগীদের মতে, এই রাজনৈতিক নেতারা হলেন সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী। এবং, আইএসআই যোদ্ধাদের মতে, এ নেতারা হলেন মোডারেট মুসলিম ও ইহুদিদের দলাল।
ইমরান খানাকে একজন প্রশ্ন করেছেন যে, “কেউ কেউ আপনাকে বলে, আপনি নাকি একজন মোল্লা; আবার কেউ কেউ আপনাকে বলে, আপনি নাকি মোডারেট মুসলিম। আপনি আসলে কি?”
এর জবাবে তিনি বললেন – “পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় কবি মোহাম্মদ ইকবালের উপর-ও একই অভিযোগ আনা হয়েছিলো। ইংরেজরা তাঁকে মুসলিম বলতো, কিন্তু কেউ কেউ তাঁকে অমুসলিম বলতো। আমাকেও কেউ কেউ ইহুদিদের দালাল বলে, আবার কেউ কেউ আমাকে তালিবান বানিয়ে ফেলে। কিন্তু আসলে কোর’আন আমাদেরকে বলে যে, আমাদের একমাত্র রোল মডেল হলেন রাসূল (স)। আমি তাঁর সমস্ত জীবনী ভালোভাবে পড়েছি, এবং তাঁকে অনুসরণ করি।”
যাই হোক, বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ার স্বপ্ন যারা দেখেন, তাঁদেরকে উপরোক্ত পাঁচ নেতার মতোই চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।
দুই
“ক্ষমতায় গিয়ে আমরা পাকিস্তানকে পরিবর্তন করতে চাই। পাকিস্তান দেশটি সমৃদ্ধ হবার পথে যে যে বাধাগুলো রয়েছে, সেগুলো থেকে জনগণকে আমরা মুক্ত করতে চাই।
পাকিস্তানের বড় দুটি দলের-ই এক জায়গায় মিল আছে, আর তা হলো পাকিস্তানের মাফিয়াদের স্বার্থ হাসিল করা। মাফিয়াদের কাজ-ই হলো দেশের টাকা চুরি করে বিদেশে নিয়ে যাওয়া।
বড় দুটি রাজনৈতিক দলের নেতারা দুটি কাজ করে। কেউ সরাসরি মাফিয়াদের সাথে যুক্ত হয়ে দেশের বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার চুরি করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে, আবার কেউ কেউ এসব মাফিয়াদেরকে নানাভাবে সাহায্য করছে।
তাই, আমাদের রাজনৈতিক সকল সংগ্রাম-ই হলো পাকিস্তানের এসব মাফিয়া গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।”
– ইমরান খান।
বাংলাদেশের মাফিয়া গোষ্ঠীর অন্যতম একজন হলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। এসব শাহজাহান খানদের বিরুদ্ধে আমাদের দেশে একজন ইমরান খানের প্রয়োজন।