তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও মধ্যপন্থীদের বিজয়

তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন, তিনি কোনো ইসলামপন্থীও নন, আবার সেক্যুলারও নন; তিনি ছিলেন দুই ধারার মাঝামাঝি।

কাইসা সাইদ একজন আইনের প্রফেসর ও বুদ্ধিজীবী। তার কোনো রাজনৈতিক দল ছিলো না। তিনি ভিন্ন ধারার রাজনীতি করেন। রাজনীতি করতে হলে যে রাজনৈতিক দল গঠন করতে হবে, এ চিন্তার বিরোধী তিনি। জনগণ তাকে ভোট দিয়েছেন, কারণ, তিনি কোনো দলের হয়ে কারো এজেন্ডা বা আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্যে মাঠে নামেননি, বরং সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্যেই তিনি রাষ্ট্রপতি পদে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী হয়েছিলেন।

তার কোনো ধন-সম্পদ নেই। নির্বাচনের সময়ে রাষ্ট্র থেকেও তিনি কোনো সহযোগিতা নেননি। তিউনিসিয়ার জনগণের কাছে তিনি কিছুদিন আগেও খুব পরিচিত ছিলেন না। তিউনিসিয়ায় বিপ্লব পরবর্তী সময়ে তিনি জনগণের পক্ষে টেলিভিশনে এসে টকশো করতেন। তখন থেকেই তার পরিচিতি বৃদ্ধি পায়।

ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের কথা বলে এবং স্থানীয় সরকারের সমালোচনা করে তিনি বামপন্থীদের থেকে যেমন ভোট পেয়েছেন; তেমনি ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরোধিতা করে এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের কথা বলে তিনি ইসলামপন্থীদের থেকেও ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে আরব বিশ্বের রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করে তিনি গণতন্ত্রপন্থীদের থেকেও ভোট পেয়েছেন।

বর্তমান যুগ মধ্যপন্থীদের যুগ। কড়া ইসলামপন্থী ও উগ্র সেক্যুলারপন্থীদের যুগ শেষ হয়েছে তিউনিসিয়ায়।

18 September 2019 at 10:29 pm

আরো পোস্ট