আহারে বুদ্ধিজীবীর দল!

স্বাধীনতার পর এক বুদ্ধিজীবী নিজেদের চরিত্র সম্পর্কে আক্ষেপ করে বলেছিলেন-

“বাংলাদেশের গণ-আন্দোলনে বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের ভূমিকা গৌরবের নয়, লজ্জার; দৃঢ়তার নয়, দ্বিধার; ত্যাগের নয়, সুবিধা শিকারের।

সম্প্রদায় হিসাবে আমরা বুদ্ধিজীবী তমগা, টাকা, সহজ সম্মান, বিদেশ ভ্রমণের গ্রহণ থেকে ব্যতিক্রমের দৃষ্টান্ত কেউ স্থাপন করতে পারিনি। আজ বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়কে আত্ম-বিশ্লেষণ করতে হবে, ভবিষ্যতে তাদের ভূমিকা কি হবে!”

স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর আমাদের দেশ তার যৌবন পার করে বৃদ্ধ হতে চলছে; অথচ আজো এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের চরিত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বর্তমানে যাদের আমরা বড় বড় বুদ্ধিজীবী হিসাবে জানি, তারা কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন না যে, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে তারা বিন্দু পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সরকার যখন সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করল, বুদ্ধিজীবীরা তখনও কেউ কিছু বললেন না, একটা প্রতিবাদ-বিবৃতি পর্যন্ত কেউ দিতে পারলেন না। একই বছরের ১৬ জুন দেশের সব গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হল, কোনো বুদ্ধিজীবী টু শব্দটিও করলেন না। এমনকি শেখ মুজিবকে হত্যা করার পরেও কেউ কোনো কথা বললেন না।

স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে যখন সারা দেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থান শুরু করল, বুদ্ধিজীবীরা সব তখনও মুখে কুলপ এঁটে বসে ছিলেন। আজ আরেক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে যখন সারা দেশের মানুষ গণ-আন্দোলন করে যাচ্ছেন, তখনও বুদ্ধিজীবীরা ঠিক আগের মত কানে আঙুল দিয়ে বসে আছেন।

আহারে বুদ্ধিজীবীর দল!!!

February 17, 2015 at 10:34 PM · 

আরো পোস্ট