একজন মানুষকে ভালোভাবে না জেনে তাঁর সম্বন্ধে বলতে যাওয়া কতটা মারাত্মক!!

একজন মানুষকে ভালোভাবে না জেনে তাঁর সম্বন্ধে বলতে যাওয়া যে কতটা মারাত্মক তা বুঝলাম ‘ফাতহুল গায়েব’ বইটা পড়তে গিয়ে। এটি আধ্যাত্মিক গুরু আব্দুল কাদির জিলানী (রাহিমাহুল্লাহ) –এর একটি বক্তৃতা সংকলন। আধ্যাত্মিক যাত্রায় একজন মানুষের জীবন-আত্মা কিভাবে ভাঙ্গে আর গড়ে, ওঠে আর নামে, চলে আর থামে, তা তুলে ধরেছেন তাঁর বক্তৃতায়; একজন দক্ষ পথিকের ভূমিকায়।

আমাদের সমাজে তাঁকে নিয়ে অনেক মিথ চালু আছে, যার ফলে কেউ তাঁকে আসমানে তুলে রাখেন, কেউবা আবার তাঁর কবর রচনা করেন। দু’টি ধারার মানুষ-ই তাঁকে নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি করেন, অথচ তাঁর মহা-মূল্যবান কথাগুলো জানতে, শুনতে বা মানতে নারাজ।

তিনি তাঁর বক্তৃতায় বারম্বার বলেছেন- ‘শির্‌ক, বিদায়াত থেকে দূরে থাক; তাওহীদের ওপর দৃঢ়চিত্ত থাক’। এমনকি জীবনের শেষ লগ্নে তাঁর পুত্র সৈয়দ আব্দুল ওয়াহাব এসে যখন শেষবারের মত কিছু উপদেশ চাইলেন, তখনো তিনি ঠিক এ কথাগুলো-ই বলেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন- ‘তোমরা সব ব্যাপারে আল্লাহর ওপর নির্ভর করবে, তাঁর আদেশ মেনে চলবে। তিনি ছাড়া আর কাউকে ভয় করবে না কিম্বা কারো কাছে কোনো কিছু আশাও করবে না। সব কাজ কর্মে কেবল আল্লাহর ওপর-ই ভরসা করবে। কোনো কিছু প্রার্থনা করতে হলে তাঁর কাছে-ই প্রার্থনা করবে। তাওহীদের ওপর দৃঢ়চিত্ত হয়ে থাকবে।’
সবশেষে ছেলের দিকে লক্ষ্য করে বললেন- ‘শোন, বাবা! তোমরা আমাকে আপন না ভেবে যিনি তোমাদের প্রকৃত আশ্রয়স্থল তাঁকে-ই আপন ভাব।’ (‘ফাত্‌হুল গায়েব’ বইয়ের সর্বশেষ বক্তব্য)

আমরা যাদের নিয়ে প্রতিনিয়ত বিতর্ক সৃষ্টি করে চলছি কিম্বা দলে-উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ছি; তারা আসলে-ই জানি না, আমাদের মহান পুরুষগণ কী বলেছিলেন বা কী করেছিলেন!

March 19, 2014 at 10:00 PM ·

আরো পোস্ট