বিচার নিজের হাতে করার সমস্যা
উমার রা., উসমান রা. ও আলী রা.-সহ অনেক সাহাবীকে হত্যা করা হয়েছে, যার পেছনে মূল কারণ ছিল বিচার নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা।
উমার রা. কে হত্যা করে আবূ লুলুআ, যার অভিযোগ ছিল যে উমার রা. তার উপর অতিরিক্ত কর আরোপ করেছেন এবং এই সিদ্ধান্তকে সে অন্যায় বা জুলুম হিসেবে দেখেছে। এর প্রতিক্রিয়ায়, সে বিচার নিজের হাতে তুলে নিয়ে উমার রা.-কে শহীদ করে।
উসমান রা.-কে যারা হত্যা করে, তারা অভিযোগ করে যে উসমান রা. কুরআন পুড়িয়ে দিয়েছেন, যদিও শহীদ হওয়ার সময়ও তিনি কুরআন পাঠ করছিলেন। কিন্তু হত্যাকারীরা আদালতের মাধ্যমে বিচার না করে নিজেরাই তার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আলী রা.-কে যারা হত্যা করে, তাদের দাবী ছিল যে আলী রা. সিফফিনের যুদ্ধের পর মুয়াবিয়া রা.-এর সঙ্গে মিলে গিয়ে ইসলামের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন এবং তিনি কাফের হয়ে গেছেন। ইবন মুলজিম যখন আলী রা.-কে তরবারি দিয়ে আঘাত করছিল, তখন সে কুরআনের আয়াত “ইন্নাল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ” (বিচার কেবল আল্লাহর জন্য) পাঠ করছিল। এ আয়াত পাঠ করে সে নিজের হাতেই বিচার করে বসে।
আজ যারা মাজার ভাঙার জন্য নিজেদের হাতে বিচার তুলে নিচ্ছে, তারা মূলত সেই হত্যাকারীদের মতো কাজ করছে যারা সাহাবীদের হত্যার ক্ষেত্রে একই পথ অনুসরণ করেছিল।
আইনের সঠিক প্রয়োগের জন্যে আন্দোলন করা, আর আইন থাকার পরেও সেটা বাস্তবায়ন না করে নিজের হাতে বিচার করার পার্থক্য রয়েছে। এটা না জানলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।