কোনো কিছুর আগে ইসলামী শব্দ যুক্ত করার প্রচলন আগে ছিলো না

ইবনে সিনা চিকিৎসার জন্যে যে বই লিখেন, তার নাম “আল কানুন ফিত্তিব” বা “চিকিৎসার নিয়মাবলী”। বর্তমানে কেউ যদি একই ধরণের বই লিখতো, তাহলে তার নাম দিতো –”ইসলামী চিকিৎসা” বা “তিব্বে নববী”। যেমন আমরা এখন দেখি – “ইসলামী হাসপাতাল”।

ইবনে হাইসাম চোখের আলো নিয়ে যে বইটি লিখেন, তার নাম “কিতাবুল মানাজির” বা “আলোকবিদ্যার বই”। একই ধরণের বই বর্তমানে কেউ যদি লিখতো, তাহলে তার নাম হতো – “ইসলামী আলোক বিদ্যা”। যেমন আমরা এখন দেখি – “ইসলামী চক্ষু হাসপাতাল”।

ইবনে খালদুন ইতিহাস নিয়ে যে বইটি লিখেন, তার নাম “কিতাবুল ইবার ওয়া দিওয়ান” বা “মুকাদ্দিমা” বা “ইতিহাসের ভূমিকা”। তিনি “ইসলামী ইতিহাস” নামে কোনো বই লেখেননি। কিন্তু বর্তমানে কেউ যদি তার মতো বই লিখে, তার নাম হবে “ইসলামী ইতিহাস”।

যে কোনো বই বা প্রতিষ্ঠানের আগে “ইসলামী” শব্দটা লাগানোর প্রবণতা সম্প্রতি শুরু হয়েছে। ক্লাসিক্যাল যুগে “ইসলামী” শব্দটির ব্যবহার এভাবে হতো না।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ায় অনার্সের জন্যে চান্স পাবার পর মনে মনে ভাবলাম, “আব্বাসি যুগের জ্ঞানের রাজ্য “বাইতুল হিকমাহ” দেখিনি তো কি হয়েছে, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে” পড়ার সৌভাগ্য তো হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।”

কিন্তু, সেখানে ভর্তি হবার পর দেখলাম, ৩/৪টি ধর্মীয় সাবজেক্ট ছাড়া বাকি সকল সাবজেক্ট হলো অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতোই। তখন বুঝলাম, “ইসলামী” নামের অনেক প্রতিষ্ঠান কেবল নামেই “ইসলামী”, কাজে নয়।

আরো পোস্ট