জ্ঞান অর্জনের জন্য স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কি গুরত্বপূর্ণ?

স্বনামধন্য কোনো স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়তে পারলে জীবন বৃথা’ – এমন কথা অনেক শিক্ষার্থী ও তাঁদের বাবা-মায়েরা বলে থাকেন। এ কারণেই সন্তানদেরকে তাঁদের বাবা-মায়েরা চাপের মধ্যে রাখেন। অথচ, এই ধরণের চিন্তাকে সম্পূর্ণ নির্বুদ্ধিতা মনে করেন ইমাম গাজালি। তিনি বলেন –

فلا ينبغي لطالب العلم أن يتكبر على المعلم ومن تكبره على المعلم أن يستنكف عن الاستفادة إلا من المرموقين المشهورين وهو عين الحماقة
[إحياء علوم الدين 1/ 50]

অর্থাৎ, “শিক্ষক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে গর্ব করা কোনো শিক্ষার্থীর উচিত নয়। স্বনামধন্য ও প্রসিদ্ধ কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের কাছে পড়ার কারণে যারা গর্ব করে, তারা মূর্খ ছাড়া আর কিছুই নয়।”

এর কারণ হিসাবে ইমাম গাজালি বলেন – জ্ঞান হচ্ছে মুক্তির কারণ। কোনো হিংস্র জন্তু কাউকে আক্রমণ করলে তাৎক্ষনিক ঐ আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা করার কৌশলটা শেখা গুরুত্বপূর্ণ। তখন কে কৌশল শেখালো, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেউ যদি স্বনামধন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের কাছে আত্মরক্ষার কৌশলটা শেখার জন্যে বসে থাকে, তাহলে সে মারা যাবে।

সম্প্রতি, ভিকারুন্নেসার যে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে, তার সমস্যাও একই। স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের কাছে পড়তে পারার অহংকার এবং না পড়তে পারার হতাশাই শিক্ষার্থীদেরকে এমন আত্মহত্যার দিকে নিয়ে যায়। এর জন্যে মা-বাবারাও দায়ী।

6 December 2018 at 18:41 

আরো পোস্ট