দুর্ণীতি নাকি ‘সোনার বাংলা’?
একজন বললেন, আমাদের দেশে দুর্নীতি, বেকারত্ব ও বৈষম্যের মতো গুরুতর সমস্যা নিয়ে আগে কথা বলা উচিত। এখন ‘সোনার বাংলা’ নিয়ে কথা বলা অপ্রয়োজনীয়।
আমি জবাব দিলাম,
– দুর্নীতি, বেকারত্ব ও বৈষম্য এই দেশে জায়গা পেলো কীভাবে?
– ‘সোনার বাংলা’র নদীতে কারা বাঁধ দিলো?
– বাংলাদেশের কৃষকদের যখন পানি প্রয়োজন, তখন বাংলাদেশের কৃষকদের তৃষ্ণায় মারে?
– বন্যার সময়ে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদের ফসল নষ্ট করে কারা?
– কারা আমাদের সাথে নদীর পানির ভাগ দেয় না? বৈষম্য করে?
– কারা আমাদের দেশের দুর্নীতিবাজদেরকে নিজেদের দেশে আশ্রয় দিয়ে রাখে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন। দুর্নীতি, বেকারত্ব ও বৈষম্যের শিকড় কোথায় প্রোথিত, তা উপলব্ধি করুন।
ভারত ‘সোনার বাংলা’কে তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দেখে। কিন্তু এই বন্ধুত্বের মুখোশের আড়ালে আমাদের সবকিছু তারা ধ্বংস করে দিচ্ছে। সেই মুখোশটি খুলে ফেলা এখন সবচেয়ে জরুরি।
আপনার গরু কেড়ে নিয়ে আপনাকে একটা জুতা কেউ দিলে এটাকে আমরা বলি ‘গরু মেরে জুতা দান’। ভারত আমাদের সব কিছু কেড়ে নেয়। আমরা যখন সেটা উদ্ধার করতে যাই, তখন তারা আমাদেরকে ‘সোনার বাংলা’র গান শুনায়।
আপনার গরু কেড়ে নিয়ে কেউ যদি আপনাকে একটা জুতা দেয়, তাহলে সেটা কীভাবে গ্রহণ করবেন? এটাই হলো ‘গরু মেরে জুতা দান’। ভারত আমাদের অনেক কিছু কেড়ে নিচ্ছে, আর যখন আমরা সেটা পুনরুদ্ধার করতে চাই, তখন তারা আমাদের ‘সোনার বাংলা’র গান শুনায়।