মাদকের শাস্তি কি ক্রসফায়ার বা হত্যা?
বাংলাদেশের মতো একটি সেক্যুলার রাষ্ট্রে মদ বিক্রি বা খাওয়ার অভিযোগে গত দশ দিনে ৫৪ জন মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। অথচ, একটি ইসলামী রাষ্ট্রে মদ বিক্রি বা মদ খাওয়ার অপরাধে কাউকে ক্রসফায়ার বা হত্যা করা হতো না।
মদকে নিষিদ্ধ করার জন্যে কোর’আনে তিনটি ধাপ অবলম্বন করা হয়েছে। প্রথম ধাপে বলা হয়েছে যে, মদের মধ্যে কিছু উপকারিতা আছে, তবে মদের ক্ষতি অনেক বেশি। [সূত্র – ২:২১৯] এর অনেকদিন পর, দ্বিতীয় ধাপে বলা হয়েছে যে, তোমরা মদ খেয়ে নামাজ পড়তে এসো না। [সূত্র – ৪:৪৩]। এর অনেকদিন পর, তৃতীয় ধাপে বলা হয়েছে যে, মদ খাওয়া হচ্ছে শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা মদ খাওয়া পরিত্যাগ করো। [সূত্র – ৫:৯০, ৯১]
দেখুন, একটি ইসলামী রাষ্ট্রে মদ বিক্রি বা খাওয়ার অপরাধে কাউকে হত্যা করার আদেশ দেয়া হচ্ছে না, বরং অনেক ধাপে ধাপে, আস্তে আস্তে মানুষকে মদ থেকে দূরে সরিয়ে আনা হচ্ছে। কিন্তু, একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র কতটা নির্মম হলে মদ বিক্রি বা খাওয়ার অভিযোগে মানুষকে হত্যা করতে পারে?
ধরুন, আজকে বাংলাদেশে যদি কোনো ইসলামী সরকার থাকতো, এবং মদ বিক্রি বা খাওয়ার অপরাধে কাউকে হত্যা করা হতো, তখন সারাবিশ্বের সেক্যুলারগণ ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতো। অথচ, এখন সেক্যুলারগণ জালিম সেক্যুলার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো কথাই বলছেন না।