সোহরাওয়ার্দী কি ইসলামী আন্দলনের কর্মী নন?

একজন আলীয়া মাদ্রাসার ছাত্র আমাদের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নাম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৩ সালের এই দিনে (৫ ডিসেম্বর) তিনি আল্লাহর কাছে চলে যান। আর তাঁর দেহ দাফন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে তিন নেতার মাজারে।

মাদ্রাসার যে ছাত্রদেরকে আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে দেয়া হচ্ছে না, যে ছাত্রদেরকে আজকের সমাজে ছোট করে দেখা হয়, সেই সব ছাত্রদের প্রেরণার পুরুষ এই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

উর্দু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করার পরেও তিনি আমাদের বাংলা ভাষা শিখেছিলেন। আরবি ভাষায় অনার্স করার পরেও তিনি ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। বিজ্ঞান নিয়ে পড়েও তিনি রাজনীতি করেছিলেন। মুসলিম হয়েও তিনি বাংলাদেশ ও কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েও তিনি বাংলাদেশের শেখ মুজিবকে রাজনীতি শিখিয়েছিলেন। তাই তিনি বাংলাদেশের ইসলামী রাজনীতির একজন শ্রেষ্ঠ আদর্শ।

ভারত, কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের মুসলিমদের অধিকারের জন্যে তিনি তাঁর সারাজীবন ব্যয় করেছেন। তাই, তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনগুলোর অনেক কিছু শেখার আছে।

বাংলাদেশের মিডিয়ায় বর্তমানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে একজন সেক্যুলার হিসাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। অথচ তিনি ছিলেন আমাদের আদর্শ। আমরা ইতিহাস জানি না, তাই কেউ যদি বলে তোমার বাবা হিন্দু-সেক্যুলার ছিলো, তখন আমরা তাই মেনে নিচ্ছি।

আসলে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কেমন মানুষ ছিলেন, কেন তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে ইসলামী আন্দোলনগুলোর চর্চা করা প্রয়োজন, তা তাঁর এই সাক্ষাতকার থেকে বুঝতে পারবেন।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2328828733857052&id=100001898453623

আরো পোস্ট