মুক্ত মন’ ও ‘সুস্থ বিবেক’ দুটি আলাদা সত্তা একই সাথে চলতে পারে না
‘মুক্ত মন’ ও ‘সুস্থ বিবেক’ -এ দুটি পরস্পর বিপরীত। বিবেকের কাছে যে দায়বদ্ধ না, সে ‘মুক্তমনা’। যে কেবল মনের ইচ্ছায় চলে, সে ‘মুক্তমনা’। ফলে কেউ যদি মনকে ‘মুক্ত’ করতে চায়, তাহলে তার বিবেককে করতে হবে প্যারালাইজড।
কারণ…
শরীরের বিভিন্ন আন্দোলন বা দাবী-দাওয়া এসে জমা হয় আমাদের মনে। অন্যদিকে রূহের দাবী-দাওয়া এসে হাজির হয় বিবেকের দ্বারে। মন ও বিবেক একটি রেলগাড়ির দুটি লাইনের মত। শুধু একটি লাইনে ভর করে কোনো রেলগাড়ি চলতে পারে না। একটি ছাড়া অন্যটি বিপদজনক।
একটি মাইক্রোবাস জ্বালানী শক্তি যদি হয় মন, বিবেক হচ্ছে তার চালক। চালক ছাড়া যেমন গাড়ীটি চলবে না; জ্বালানী শক্তি ছাড়াও ঠিক গড়িটি হয়ে পড়বে অচল। একে অন্যের উপর নির্ভরশীল।
‘মুক্তমনা’ শব্দটি কানে আসলে চোখে ভাসে এমন একটি একটি মাইক্রোবাস যাকে ঢাকায় ফার্মগেটের ওভার ব্রিজের নিছে সুইচ অন করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, অথচ তার নেই কোনো চালক। কিংবা, উত্তরার উদ্দেশ্যে কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি রেলগাড়ি যার একটি লাইন মুক্তমনে চলে গেছে সদরঘাটের দিকে, অন্যটি উত্তরার দিকে।
মন ও বিবেক দুটি আলাদা সত্তা একই সাথে চলতে পারে; চলতে হয়। কিন্তু ‘মুক্ত মন’ ও ‘সুস্থ বিবেক’ দুটি আলাদা সত্তা একই সাথে চলতে পারে না। ‘মুক্ত মন’ সবসময় বিবেককে অস্বীকার করে চলে। ফলে বিবেক হয়ে পড়ে অসুস্থ। একই ব্যক্তির মন ‘মুক্ত’, অথচ বিবেক সুস্থ; তা হতে পারে না। ‘মুক্তমনা’ মানেই অসুস্থ বিবেক।
April 4, 2015 at 10:17 PM ·