|

কেন আপনি কমফোর্ট জোন থেকে বের হবেন?

কমফোর্ট জোন হলো যে কোনো পরিবর্তনের বিপরীত। যে যেখানে যে অবস্থায় আছে, সে অবস্থায় থাকতে চাওয়াই হলো কমফোর্ট জোনে থাকা।

নিজের রুম ছেড়ে ঘরের অন্য রুমে থাকতে না চাওয়া, নিজের পছন্দের খাবার ছেড়ে ভিন্ন স্বাদের খাবার খেতে না চাওয়া, নিজের অনেক দিনের একটা অভ্যাস হঠাৎ করে ত্যাগ না করা, বর্তমানের চাকরী বা ব্যবসাটা ছেড়ে অন্য ভালো চাকরী বা ব্যবসায় মনোযোগ দিতে না চাওয়া – এ সবগুলোই হলো কমফোর্ট জোনে থাকতে চাওয়ার সমস্যা।

কমফোর্ট জোনে থাকতে আমরা সবাই ভালোবাসি। কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে যে একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তা অনেকেই পছন্দ করেন না।

সফল মানুষরা খুব সহজেই তাদের কমফোর্ট জোন ছেড়ে বের হয়ে আসতে পারেন। কিন্তু অলস মানুষরা খুব সহজে তাদের কমফোর্ট জোন ছাড়তে পারেন না। কমফোর্ট জোন ছেড়ে আসার মধ্যে যে একটা আনন্দ, সম্মান ও সমৃদ্ধি রয়েছে, তা আমরা অনেকেই বুঝে উঠতে পারি না।

কুরআনের এ আয়াতটি কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে আসার জন্যে উৎসাহ দেয় মানুষকে। আল্লাহ বলেন:

وَمَن يُهَاجِرْ فِي سَبِيلِ اللّهِ يَجِدْ فِي الأَرْضِ مُرَاغَمًا كَثِيراً وَسَعَةً وَمَن يَخْرُجْ مِن بَيْتِهِ مُهَاجِرًا إِلَى اللّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ يُدْرِكْهُ الْمَوْتُ فَقَدْ وَقَعَ أَجْرُهُ عَلى اللّهِ وَكَانَ اللّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا

“যে কেউ আল্লাহর পথে দেশত্যাগ করে, সে এর বিনিময়ে অনেক স্থান ও সচ্ছলতা প্রাপ্ত হবে। যে কেউ নিজ গৃহ থেকে বের হয় আল্লাহ ও রসূলের প্রতি হিজরত করার উদ্দেশে, অতঃপর মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তবে তার সওয়াব আল্লাহর কাছে অবধারিত হয়ে যায়। আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।” [৪:১০০]

কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে আসলে আল্লাহ সচ্ছলতা দান করেন। আর কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে আসতে গেলে যদি কেউ বিপদে পড়ে বা মৃত্যুও বরণ করে, তবুও আল্লাহর কাছে রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার।

আরো পোস্ট