আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার ও অধ্যাপক গোলাম আজমের মধ্যে পার্থক্য
অধ্যাপক গোলাম আজম বলেন,
তাবলীগ জামায়াত ইকামাতে দ্বীনের আন্দোলন নয়। এ জামায়াত দ্বীনের মহা মূল্যবান খেদমতের এক বিশ্বজোড়া আন্দোলন। তাবলীগ সম্পর্কে এ ধারণাই আমি সঠিক বলে মনে করি। তাবলীগের দাওয়াত ও কর্মসূচীকে রাসূল (সা:) এর ইসলামী আন্দোলনের মতোই পূর্ণাঙ্গ বলে ধারণা হওয়াটা ইসলামী জীবন- বিধানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে। এর ফলে বিশ্ব নবীকে মাত্র একজন ধর্মীয় নেতা হিসেবে মনে করা হবে। আল্লাহ পাক এ জাতীয় ভুল ধারণা থেকে মুসলিম জাতিকে রক্ষা করুন।
(ইকামাতে দ্বীন, পৃ ৪৭)
উস্তাদ আবদুল্লাহ জাহাঙ্গির বলেন,
দ্বীন প্রতিষ্ঠার অর্থ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বের সকল পর্যায়ে ইসলামের ঈমান, ইবাদাত, মুআমালাত বা ইসলামী বিশ্বাস, ইবাদত ও ইসলামী জাগতিক ব্যবস্থাদি প্রতিষ্ঠা করা। কাজেই যিনি এগুলির সব একত্রে বা এগুলির কোনো একটি প্রতিষ্ঠা করার কাজে রত রয়েছেন তিনিই “দ্বীন প্রতিষ্ঠা”-র কর্মে রত রয়েছেন। এখন পদ্ধতি ও উপকরণের কারণে যদি কেউ মনে করেন যে, আমার কর্ম “দ্বীন প্রতিষ্ঠার ইবাদত” বলে গণ্য ও আপনার কর্ম এই ইবাদত বলে গণ্য নয় তাহলে তা বিদ‘আত, বিচ্ছিন্নতা ও অকারণ বিবাদে পরিণত হবে।
( এহইয়াউস সুনান, ইসলামী রাজনীতি : ইবাদত, উপকরণ বনাম বিদ‘আত)
অধ্যাপক গোলাম আযম বলেন,
“বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র বিসমিল্লাহ ও আল্লার প্রতি আস্থার কথা লেখা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র নয়। কারণ ‘দ্বীনে হক’ এ দেশে চালু নেই। যেটা চালু আছে সেটা সাধারণ যুক্তিতেই দ্বীনে বাতিল, এ বাতিল ব্যবস্থা ইংরেজ আমল থেকেই রয়েছে। দ্বীনে বাতিলই এখানে দু’শ বছর থেকে বিজয়ী হয়ে আছে।”
ইকামাতে দ্বীন, পৃ:২৩
উস্তাদ আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর বলেন,
“মুসলিম বিশ্বের প্রত্যেক দেশে ইসলামি আইন আছে। ১৬ আনা নেই, তবে ১২ আনা আছে, ৬ আনা আছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ ফৌজদারি আইন ইসলামি। আমাদের দেওয়ানী আইন ইসলামি। আমাদের পারিবারিক ব্যবস্থা ইসলামি। …বর্তমানে দারুল হরব বলে কোনো দেশ নেই। যে দেশের সাথে মুসলিম কোনো দেশের সন্ধি আছে, সেটা আর দারুল হরব না। আর মুসলমানের দেশ তো অবশ্যই দারুল ইসলাম।”
দেখুন https://www.youtube.com/watch?v=EnaniUrHQ38&t