সুদ-নির্ভর অর্থব্যবস্থা চালু থাকার কুফল

নূন্যতম শ্রম ব্যতীত যে অর্থ বা সম্পদ কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট এসে জমা হয়, তা সাধারণত তিন প্রকার।

প্রথমত: সম্পর্কের কারণে। যেমন বাবা-মায়ের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় সন্তানেরা, প্রতিবেশী বা বন্ধুত্বের কারণে উপহার প্রদান, ইত্যাদি।

দ্বিতীয়ত: দান, সদকা, যাকাত বা ঋণের কারণে।

তৃতীয়ত: সুদ, ঘুষ, লটারি বা দুর্নীতির কারণে।

ইসলামে প্রথম দু’টির ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ দিলেও শেষটিকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে।

কারণ,

যে সমাজে যতবেশি সুদ-ঘুষের আদান-প্রদান হয়, সে সমাজে ততবেশি আত্মীয়তার সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় এবং দান-সদকা ওঠে যায়। উল্টোভাবেও বলা যায়। যে সমাজে দান-সদকা-ঋণ ওঠে যায়, আত্মীয়তার সম্পর্কে ছেদ ঘটে; সে সমাজে দ্রুত সুদের প্রচলন ঘটে। বর্তমান ইউরোপ-আমেরিকার দিকে তাকালে খুব সহজে বিষয়টি অনুধাবন করা যায়। সেখানে সুদ-নির্ভর অর্থব্যবস্থা চালু থাকায় আত্মীয়তার সম্পর্কগুলো ভেঙ্গে গেছে; দান, সদকা, ঋণ ওঠে গেছে।

May 19, 2015 at 11:12 PM ·

আরো পোস্ট