সহীহ হাদীসের বৈচিত্র্য
বুখারী শরীফে এমন অসংখ্য হাদীস আছে, যা আপাত দৃষ্টিতে দেখতে একটি অপরটির বিপরীত মনে হয়। একটিকে গ্রহণ করলে অন্যটিকে অস্বীকার করা মনে হতে পারে। আসলে বিষয়টা তেমন নয়। ইমাম বুখারী হাদীস মানার ক্ষেত্রে উদারতার প্রমাণ স্বরূপ অনেক পরস্পর বিপরীত হাদীস পাশাপাশি উল্লেখ করেছেন। এটাই হাদীসের সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য।
উদাহরণ – ১
আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ সময়ে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। ফজরের পর সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত এবং আসরের পর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। (সহীহ বুখারী, হাদিস নাম্বার: ৫৬১)
আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে ভাগিনে! নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে উপস্থিত থাকার কালে আসরের পরবর্তী দু’রাকাআত কখনও ছাড়েননি। (সহীহ বুখারী, হাদিস নাম্বার: ৫৬৪)
উদাহরণ – ২
হুযায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমার স্মরণ আছে যে, একবার আমি ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সাথে চলছিলাম। তিনি দেয়ালের পেছনে মহল্লার একটি আবর্জনা ফেলার জায়গায় এলেন। তারপর তোমাদের কেউ যেভাবে দাঁড়ায় সেভাবে দাঁড়িয়ে তিনি পেশাব করলেন। এ সময় আমি তাঁর কাছ থেকে সরে যাচ্ছিলাম কিন্তু তিনি আমাকে ইশারা করলেন। আমি এসে তাঁর পেশাব করা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে থাকলাম। (সহীহ বুখারী, হাদীস নম্বর : ২২৫)
আয়েশা (রা) বলেন, “যে ব্যক্তি তোমাদের বলবে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়িয়ে পেশাব করেছেন – তার কথা বিশ্বাস করো না।” (ইবনে মাজাহ ৩০৭, তিরমিযী ১২, নাসায়ী ২৯, আহমাদ ৬/১৩৬)