আদম (আ)-কে কিভাবে জান্নাত থেকে নামিয়ে দেয়া হলো?
জান্নাত থেকে নেমে যাওয়ার জন্যে আল্লাহ তায়ালা আদম (আ)-কে বললেন, قَالَ اهْبِطُوا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ وَلَكُمْ فِي الْأَرْضِ مُسْتَقَرٌّ وَمَتَاعٌ إِلَىٰ حِينٍ “তোমরা নেমে যাও। তোমরা এক অপরের শত্রু। পৃথিবীতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোমাদের বসবাসের ও জীবিকার ব্যবস্থা রয়েছে”। [সূরা ৭/আ’রাফ – ২৪] এখানে আদম (আ)-কে জান্নাত থেকে নামিয়ে দেয়ার জন্যে ‘ইহবিতু’ (اهْبِطُوا) শব্দটি…
ডাক্তারদেরকে আধ্যাত্মিক বিদ্যা অর্জন করতে হবে
একজন ডাক্তার যখন একজন ইঞ্জিনিয়ারের মত আচরণ করেন, তখন সমস্যা সৃষ্টি হয়। একজন ইঞ্জিনিয়ার কেবল বস্তু নিয়ে কাজ করেন, কিন্তু একজন ডাক্তারকে মানুষ ও প্রাণীদের নিয়ে কাজ করতে হয়। বস্তু ও মানুষ এক নয়। একজন ইঞ্জিনিয়ার কোনো বস্তুকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে কাটতে পারেন, এবং যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে জোড়া লাগাতে পারেন। কিন্তু একজন ডাক্তার মানুষকে বস্তুর…
কেন এত দুর্নীতি?
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও দেশের সর্বত্র এত দুর্নীতি কেন? একটি জরিপের মাধ্যমে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করি। মানুষের মূল্যবোধ জরিপ করে বিশ্বের যেসব সংগঠন, তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ একটি সগঠনের নাম হলো World Values Survey । বাংলাদেশকে নিয়ে তারা একটি জরিপ করেছিল অনেক আগে, কমেন্টে জরিপের মূল লিঙ্কটি দিয়ে দিয়েছি। ঐ জরিপটি থেকে এখানে দুটি…
ব্রেইন, হার্ট ও মাইন্ড : টেলিভিশন
ব্রেইন, হার্ট ও মাইন্ড –এ তিনটির সম্পর্ক বোঝার জন্যে একটি টেলিভিশনকে কল্পনা করা যাক। টেলিভিশনের মনিটর বা পর্দা হলো আমাদের ব্রেইন, টেলিভিশনের অ্যান্টেনা হলো আমাদের হার্ট এবং স্যাটেলাইট সিগন্যাল হলো আমাদের মাইন্ড। _________ একটি টেলিভিশনের কথা বললে আমরা কেবল বক্সের মত একটি যন্ত্রকে বুঝি না। আমরা জানি, টেলিভিশনের তরঙ্গ আসা-যাওয়ার জন্যে পৃথিবীর উপরে একটি স্যাটেলাইট…
সিয়াম, রোজা ও অটোফেজি
মুসলিমরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ‘সিয়াম’। খ্রিস্টানরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ‘ফাস্টিং’। হিন্দু বা বৌদ্ধরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ‘উপবাস’। বিপ্লবীরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ‘অনশন’। আর, মেডিক্যাল সাইন্স রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ‘অটোফেজি’। খুব বেশি দিন হয়নি, মেডিক্যাল সাইন্স ‘অটোফেজি’র সাথে পরিচিত হয়েছে। ২০১৬ সালে নোবেল কমিটি জাপানের ডাক্তার…
মানুষ ও বানর : ধৈর্য ও অধৈর্য
বানরকে আপনি যদি একটি কলা দিয়ে বলেন যে, ‘১ ঘণ্টা পরে এ কলাটি খাবি’। সে আপনার কথা না শুনে সাথে সাথেই কলাটি খেয়ে ফেলবে। কারণ, পশুদের মাঝে ধৈর্য ধারণ করার শক্তি নেই। মানুষ-ই একমাত্র প্রাণী যারা ধৈর্য ধারণ করতে পারে। কিন্তু মানুষ যখন তার ধৈর্য হারিয়ে ফেলে, তখন সে আর মানুষ থাকে না; বানর বা…
হৃদয় ও মস্তিষ্কের সম্পর্ক
এক মানুষের ব্রেইন পাঁচটি অঙ্গের উপর নির্ভরশীল। নাক, চামড়া, চোখ, কান ও হৃদয়। ব্রেইনকে সবচেয়ে কম প্রভাবিত করে নাক, এরপর চামড়া, এরপর চোখ, এরপর কান। আর, ব্রেইনকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে হৃদয়। অন্যদিকে, নাক নির্ভর করে চোখের উপর, চোখ নির্ভর করে কানের উপর, এবং কান নির্ভর করে হৃদয়ের উপর। তাই, ব্রেইনের কর্তা হলো হৃদয়। মানুষের…
ভাস্কর্য এবং মূর্তির পার্থক্য
এক ভাস্কর্য এবং মূর্তির মাঝে অনেক বড় পার্থক্য আছে। ভাস্কর্য হলো সুন্দরের প্রতীক, কিন্তু মূর্তি হলো চেতনার প্রতীক। থেমিসের জন্যে যারা কান্নাকাটি করছে, তারা থেমিসকে সুন্দরের প্রতীক মনে না করে বরং চেতনার প্রতীক মনে করে। প্রশ্ন হলো, ইসলাম ভাস্কর্যকে সমর্থন করলেও মূর্তিকে সমর্থন করে না কেন? কারণ হলো, কোনো অচেতন বস্তু কখনো কোনো চেতনার প্রতীক…
বাঙালির জন্ম নির্ণয়ে ধর্মের অবদান
একজন বাঙালি যতই সেক্যুলার বা নাস্তিক হোক না কেন, ধর্মের সাহায্য ব্যতীত তিনি তার অস্তিত্বের জানান দিতে পারবেন না। যেমন, কোনো নাস্তিককে যদি আপনি আপনি জিজ্ঞাস করেন, “ভাই, আপনার জন্ম কত সালে?” তিনি হয়তো বলবেন, “১৯৭১ সালে”। “আমি ১৯৭১ সালে জন্ম গ্রহণ করেছি” এর মানে হলো “আমি ঈসা (আ) এর জন্মের ১৯৭১ বছর পর জন্ম…
আদম (আ) কি পৃথিবীর প্রথম মানব ছিলেন?
সুতরাং আমরা বলতে পারি, আদম (আ) পূর্বে পৃথিবীতে অনেক মানুষ ছিল, যারা শিরক করতো, দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করতো এবং রক্তপাত করতো। তারপর, আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে তাঁর খলিফা হিসাবে এবং প্রথম নবী হিসাবে আদম (আ)-কে নির্বাচিত করেন।
আদম (আ)-কে আল্লাহ তায়ালা সম্মানিত করার মাধ্যমে পৃথিবীতে তাঁর পরবর্তী সকল মানুষ সম্মান লাভ করেছে।
আদম (আ) কি জান্নাতে ছিলেন?
– আদম (আ)-কে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর জন্যে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে জান্নাতে রেখে দিলেন কেন?
– শয়তান কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে না, কিন্তু আদম (আ)-এর জান্নাতে শয়তান কিভাবে প্রবেশ করল?
– জান্নাত থেকে আদম (আ) কিভাবে পৃথিবীতে চলে আসল?
– শয়তান যদি প্রতারণা না করত, তাহলে আদম (আ) কি কখনোই পৃথিবীতে আসতো না?
এ জাতীয় হাজারো প্রশ্নের সমাধান মিলবে, যদি আমরা নিচের একটি সহজ প্রশ্নের উত্তর জানতে পারি।
আদম (আ) কি দুনিয়ার জান্নাতে ছিলেন না আখিরাতের জান্নাতে ছিলেন?
মানুষের বিবর্তন
এক আখিরাতে কিভাবে আমাদের উত্থান হবে, তা জানার জন্যে সৃষ্টির বিবর্তনকে ভালোভাবে বুঝা প্রয়োজন। [বিস্তারিত দেখুন, আল কোর’আন; সূরা ২৯/আনকাবুত – ১৯ ও ২০ নং আয়াত] দুই আমরা সবাই জানি, চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্বের মাঝে অনেক অসঙ্গতি ও ত্রুটি রয়েছে। বিজ্ঞান এসব ত্রুটি বের করতে করতে হয়তো আরো কয়েক‘শ বছর লেগে যেতে পারে। কিন্তু, মুসলিমরা…
ফেরেশতা, জিন ও মানুষের সম্পর্ক
প্রতিটি মানুষের মাঝে দুটি সত্ত্বা থাকে। একটি জিন সত্ত্বা, এবং অন্যটি ফেরেশতা সত্ত্বা। জিন সত্ত্বা মানুষকে সবসময় খারাপ কাজের আদেশ দেয়, আর ফেরেশতা সত্ত্বা মানুষকে সবসময় ভালো কাজের আদেশ দেয়। মানুষের কাজ হলো, ফেরেশতা সত্ত্বার দ্বারা জিন সত্ত্বাকে প্রতিহত করা। মানুষের ভিতরের ফেরেশতা সত্ত্বা যদি কখনো তার জিন সত্ত্বাকে হারাতে পারে, তাহলে মানুষ মুসলিম হতে…
আমাদের পৃথিবীটা যেন একটি ফুটবল
ফুটবল খেলা আমার পছন্দ না হলেও এটা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। কেন এ খেলা এত জনপ্রিয়, তা বুঝি না; তবে ফুটবল খেলা দ্বারা পৃথিবীকে আমি ভালোভাবে বুঝতে পারি। যেমন, ফুটবলকে আমি আমাদের পৃথিবীর মত মনে করি এবং খেলার ৯০ মিনিট সময়কে আমাদের দুনিয়াবি সময় মনে করি। ১. ফুটবল খেলা হয় দুটি পক্ষ মিলে। একটি মিত্রপক্ষ…
বিশ্বাস করা ও অস্তিত্বের স্বীকার করা এক নয়
“আমি আহমদকে বিশ্বাস করি” –এ বাক্যের দ্বারা আহমদের অস্তিত্ব রয়েছে, তা বুঝানো হয় না। বুঝানো হয়, আহমদের সততার উপর আমার ভরসা রয়েছে। একইভাবে, “আমি আহমদকে বিশ্বাস করি না” –এ বাক্যের দ্বারা আহমদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয় না। বরং আহমদের সততাকে অস্বীকার করা হয়। কেউ যদি বলে, “সে আল্লাহকে বিশ্বাস করে না” –এর মানে এই নয়…
জিন-ভূতের বিশ্বাস!
– তুই কি জিন-ভূত বিশ্বাস করিস? : না – কি বলিস? জিনের কথা তো কোর’আনেও আছে। ভূতকে বিশ্বাস না করলেও চলবে, কিন্তু জিনকে তো বিশ্বাস করতে হবে। : হুম। কোর’আনে তো ইবলিস, ফিরাউন ও আবু লাহাব সহ অনেকের কথাই আছে। তাই বলে কি আপনি তাদেরকে বিশ্বাস করবেন? – না। কিন্তু… : এখানে কোনো কিন্তু নেই।…
ধর্ম, দর্শন ও বিজ্ঞান
১ম পর্ব যুক্তি ও বুদ্ধি দিয়ে ইসলামকে বুঝতে গেলে অনেকেই বলতে শুরু করেন – ‘দ্যাখ, ইবলিস কিন্তু তোর মত যুক্তি দিতে গিয়েই কাফের হইছিল’। যুক্তির বিরুদ্ধে ‘যুক্তি’ প্রদান করে অনেকে বলেন… ‘ইবলিস আল্লাহর সামনে ‘যুক্তি’ প্রদান করার কারণে সে কাফির ও শয়তান হয়ে গেছে’। কিন্তু, আল্লাহ তায়ালা বলেন… فَسَجَدَ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ كُلُّهُمْ أَجْمَعُونَ إِلَّا إِبْلِيسَ اسْتَكْبَرَ…
উলিল আমর কারা?
আল কোর’আনের সূরা নিসার ৫৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে – يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُوا۟ ٱلرَّسُولَ وَأُو۟لِى ٱلْأَمْرِ مِنكُمْ ۖ فَإِن تَنَـٰزَعْتُمْ فِى شَىْءٍۢ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ ۚ ذَٰلِكَ خَيْرٌۭ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর। রাসূল ও উলিল আমরের আনুগত্য কর। এরপর যদি তোমাদের…
মা দিবস ও কিছু কথা
ছোট বেলায় কোনো দুষ্টুমি করলে, দাদী ডাক দিয়ে বলতেন – “খবরদার! তোর দাদা দেখলে কিন্তু বকা দিবে!” অথবা, আম্মু বলতেন, – “সাবধান! তোর আব্বু দেখলে কিন্তু খবর আছে!” আমাদের দাদীরা সবসময় দাদাদের ভয় দেখাতেন, আর মায়েরা সবসময় বাবাদের ভয় দেখাতেন। কিন্তু, বর্তমানে শিশুদেরকে এখন আর বাবা-দাদাদেরর ভয় দেখানো হয় না। তাদেরকে বরং কাল্পনিক ভুত, বাঘ,…
মরিয়ম (আ) কি নবী বা রাসূল ছিলেন?
এক মরিয়ম (আ)-এর নিকট আল্লাহর ওহী, তাঁর বাণী ও তাঁর কিতাব এসেছিল। তিনি ঈসা নামক এক সন্তান জন্ম দেয়ার মাধ্যমে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন। [সূত্র – আল কোর’আন, ৬৬: ১২] ঈসা (আ)-এর নিকটও আল্লাহর ওহী, তাঁর বাণী ও তাঁর কিতাব এসেছিল। তিনি মানুষকে উপদেশ দেয়ার মাধ্যমে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন। মরিয়ম (আ) প্রচলিত ধারণার বাইরে…
নারী ও পুরুষের আচরণের ভিন্নতা
নারী ও পুরুষ উভয়ের আচরণের পার্থক্য বোঝার জন্যে উভয়ের ব্রেইন কাঠামো বুঝতে হয়। সাধারণত নারীদের ব্রেইনের ওজন ১২০০ গ্রাম, এবং পুরুষদের ব্রেইনের ওজন ১৩৭০ গ্রাম। অনেকে কৌতুক করে বলেন, পুরুষদের ব্রেইনের চেয়ে নারীদের ব্রেইন অনেক বেশি আপডেট। তাই পুরুষদের চেয়ে নারীদের ব্রেইন ছোট, কিন্তু কাজ করে বেশি। মানুষের ব্রেইন নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তাঁরা বলেন,…
শবে বরাত
আমরা ইসলামকে এমন একটি ধর্মে পরিণত করেছি, যার ফলে, কোর’আনের আদেশগুলো যেমন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না, আবার কোর’আনের নিষেধগুলোও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না। যারা শবে বরাত পালন করেন, তাঁরা এমন একটি বিষয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, যা কোর’আনে আদেশ করা হয়নি। আবার, যারা শবে বরাত পালন করতে নিষেধ করেন, তাঁরাও এমন…
নেতা, মুরব্বী, আকাবের বা বড়দের কথা
যে কোনো নেতা, মুরব্বী, আকাবের বা বড়দের কথা বিনা যুক্তিতে মেনে নেয়ার বিপদ অনেক। কারণ, মানুষ যখন জাহান্নামে যাবে, তখন আল্লাহর নিকট অভিযোগ করে বলবে – وَقَالُوا رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلَا “হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আমাদের নেতা ও বড়দের বা মুরব্বীদের কথা মেনে নিয়েছিলাম, তাই তারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল”। [সূরা ৩৩/আহযাব –…
ওহী ও যুক্তি কি পরস্পর বিরোধী?
মানুষের হৃদয়ের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। যাদের হৃদয় অচেতন, তাদেরকে মূর্খ বলা হয়। কিন্তু জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে যাদের হৃদয় উন্নত চেতনায় পৌঁছে, তাদের হৃদয়ে আল্লাহর সুস্পষ্ট আয়াত সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তায়ালা বলছেন – بَلْ هُوَ آيَاتٌ بَيِّنَاتٌ فِي صُدُورِ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ وَمَا يَجْحَدُ بِآيَاتِنَا إِلَّا الظَّالِمُونَ বরং এটি স্পষ্ট আয়াত, যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদের…